ব্রাজিল বহুদিন ধরেই ফুটবলের আত্মিক আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এর রাস্তাঘাটে জন্ম নিয়েছে এমন সব শিল্পী ফুটবলার যারা তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও কারিগরি নিপুণতায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করে রেখেছেন। পাঁচবারের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ও ২০০২), ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ে রেকর্ডধারী। পেলে থেকে নেইমার ব্রাজিলীয় ফুটবল উপহার দিয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তি।
১০. নেইমার জুনিয়র

সান্তোস একাডেমি থেকে উঠে আসা নেইমার আধুনিক ব্রাজিলের মূল তারকা। ৭০টির বেশি আন্তর্জাতিক গোল করে তিনি ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের একজন। ড্রিবলিং, সৃজনশীলতা ও ঝলমলে খেলায় দশকজুড়ে আলো ছড়ালেও চোট ও বিতর্ক তার ধারাবাহিকতায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৯. কাকা
২০০৭ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী কাকা ছিলেন সৌন্দর্যের প্রতীক। এসি মিলানে তার সময়কালে তিনি ইউরোপীয় ফুটবলে নিজের সেরা রূপ দেখিয়েছেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে থাকলেও তিনি নিজের সেরা সময়ে ছিলেন পরবর্তী দশকে। চোটে ভুগলেও কাকার শৈলী ও দূরদর্শিতার তুলনা মেলে না।
৮. রিভালদো

বাম পায়ের দুর্দান্ত শট ও সৃজনশীল খেলার জন্য বিখ্যাত রিভালদো ২০০২ বিশ্বকাপে রোনালদো ও রোনালদিনহোর সঙ্গে দুর্দান্ত ত্রয়ী গড়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন তিনি। তাঁর গোল ও অ্যাসিস্টে প্রতিপক্ষকে বারবার ধরাশায়ী করেছেন।
Also Check: টুডে ক্রিকেট ম্যাচ প্রেডিকশন
৭. কাফু
তিনটি পরপর বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় কাফু (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২)। ডানদিকের ফুল-ব্যাকে তিনি আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গাতেই সমান দক্ষ ছিলেন। ১৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই কিংবদন্তি পেশাদারিত্ব ও স্থিতিশীলতার প্রতীক।
৬. গারিঞ্চা

পেলের রাজত্বের পাশাপাশি গারিঞ্চা ছিলেন ব্রাজিলের শিল্পী। ইতিহাসের সেরা ড্রিবলার হিসেবে পরিচিত গারিঞ্চা ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬২ সালে পেলের অনুপস্থিতিতে তিনিই দলের প্রধান চালিকা শক্তি ছিলেন। তার জীবন কষ্টের হলেও ফুটবল ইতিহাসে তিনি অমর।
৫. রোমারিও
রোমারিও ছিলেন বক্সের ভিতরের শিকারি, গোল করার প্রতিভায় অতুলনীয়। নিজের দাবিতে তিনি ১০০০টির বেশি গোল করেছেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন এবং সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। তার গোলের ঘ্রাণ শোঁকার দক্ষতা দুর্দান্ত।
৪. রোনালদিনহো

ফুটবলের সবচেয়ে স্বাভাবিক প্রতিভাধর খেলোয়াড়দের একজন, রোনালদিনহো খেলতেন এক আনন্দের ছন্দে। ২০০৫ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী ও ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এই জাদুকর বার্সেলোনা ও ব্রাজিল দুই দলেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।
Also Check: ক্রিকেট ও ফুটবল লাইভ ম্যাচ
৩. রোনালদো নাজারিও
“O Fenômeno” নামে পরিচিত রোনালদো একজন আধুনিক স্ট্রাইকারের প্রতিচ্ছবি। গতি, শক্তি ও কারিগরিতে তার জুড়ি ছিল না। ২০০২ সালে গুরুতর চোট থেকে ফিরে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করে ব্রাজিলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। তিনি দুইবার ব্যালন ডি’অর জয় করেছেন।
২. জিকো
“হোয়াইট পেলে” খ্যাত জিকো ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্লেমেকার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে তার খেলা আজও ফুটবলের শৈল্পিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। ফ্ল্যামেঙ্গো ও ব্রাজিল দলে তিনি ছিলেন সৃষ্টিশীলতার প্রাণভোমরা।
১. পেলে

ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পেলের নামই সবার আগে আসে। তিনবার বিশ্বকাপজয়ী (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০) একমাত্র খেলোয়াড়। এক হাজারের বেশি গোল করা পেলে ছিলেন গতি, শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলের এক মহামিলন। তিনি ছিলেন ব্রাজিলের জাতীয় প্রতীক ও বিশ্ব ফুটবলের দূত।